নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া একটি ধরন বা ভ্যারিয়্যান্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন—করোনার এ ধরনটি, যার নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল। আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে ভ্রমণবিষয়ক বিধিনিষেধ আরোপ করছে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো এবং এসোয়াতিনি থেকে যুক্তরাজ্যে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ভারতের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সতর্ক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কঠোর নজরদারি এবং করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে—দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং ও বতসোয়ানা থেকে আগতদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এ তিন জায়গায় এখন পর্যন্ত মোট ৫৯ জনের শরীরে নতুন ধরনের এ ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
Union Health Secretary Rajesh Bhushan writes to Additional Chief Secretary/Principal Secretary/Secretary(Health) of all States/UTs that “multiple cases of a COVID-19 variant 8.1.1529 have been reported in Botswana (3 cases), South Africa (6 cases) and Honk Kong (1 case).” pic.twitter.com/80e6vtcBqg
— ANI (@ANI) November 25, 2021
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—কোভিডের সর্বশেষ এ ভ্যারিয়্যান্টকে বলা হচ্ছে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বেশি বার রূপান্তরিত ধরন। এবং ভ্যারিয়্যান্টটি এত বার রূপান্তর হয়েছে যে, একে ‘ভয়াবহ’ বলেছেন একজন বিজ্ঞানী। আরেক বিজ্ঞানী বলেছেন—এটি তাঁদের দেখা সবচেয়ে খারাপ ভ্যারিয়্যান্ট।
তবে, ভ্যারিয়্যান্টটি কেবলই শনাক্ত হয়েছে। এবং ধরনটি নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হওয়া স্থানগুলোর বেশির ভাগই দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রদেশে। যদিও, ভ্যারিয়্যান্টটি আরও ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিতও রয়েছে।

করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অবধারিত প্রশ্ন উঠেছে, যেমন—ধরনটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, টিকার সুরক্ষা এড়ানোর ক্ষমতা এবং ভ্যারিয়্যান্টটির ব্যাপারে কী করা উচিত। নতুন ভ্যারিয়্যান্টটি নিয়ে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর এখনই মিলছে না।
এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি নিয়ে আজ শুক্রবার বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।