চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ জন। এ ঘটনায় তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সাভিসের ২৯ টি ইউনিট।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনা ঘটে। রাত বাড়ার সাথে সাথে এ আগুনের ঘটনার ভয়াবহতা বাড়ছে। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধারকৃতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালের পাশাপাশি আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে চিকিৎসকদের বার্তা পাঠানো হয়েছে, ডিইউটির বাইরে থাকা চিকিৎসকদেরও কাজে ফিরতে। এছাড়া রক্ত দিতে এগিয়ে আসছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। ইতোমধ্যে কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯জন কর্মী আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করেছি আহত দেড়শ জনের মতো হবে। কিন্তু আহত আরও অনেক বেশি। এখানে অনেক চিকিৎসক এরই মধ্যে এসেছেন। আমরা অন্যদেরও আসার আহ্বান জানিয়েছি। হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স রোগীদের সেবায় আছেন। আমরা ভিড় কমিয়ে শুরুতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাসায়নিকের কন্টেইনারে বিস্ফোরণের কারণে দুর্ঘটনাস্থলে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
ডিপোতে এসময় প্রায় ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সাভিসের ২৯ টি ইউনিট।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।