দিল্লির একটি আদালতে দুপক্ষের গোলাগুলিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। উত্তর দিল্লির রোহিণীতে শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে নিহতের মধ্যে কুখ্যাত সন্ত্রাসী জিতেন্দ্র গোগী রয়েছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
আদালতে গোলাগুলির ওই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কয়েকজন দুষ্কৃতকারী আইনজীবীর পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
আদালতে দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পাল্টা গুলি চালায় দিল্লি পুলিশ। পুলিশের গুলিতেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় আদালত চত্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। গোলাগুলিতে সেখানে কর্মরত এক নারী আইনজীবীও আহত হয়েছেন।
Gangwar & murder INSIDE a court room – this is happening in Delhi, the capital of India. The Reality of Law & Order under Home Minister Amit Shah!
— Gaurav Pandhi (@GauravPandhi) September 24, 2021
উল্লেখ্য, গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত মার্চে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। আদালতে হাজির করার পর বিরোধীপক্ষের লোকজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। জিতেন্দ্র গোগীর ওপর হামলার ঘটনায় ‘টিল্লু’ দলের লোকজন জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
রোহিণী শহরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রণব তয়াল বলেছেন, ‘আইনজীবীর পোশাক পরে আততায়ীরা আদালতের মধ্যেই গোগীর ওপর গুলি চালায়। তারপর পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়েছে।’
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী দলের দুই সদস্য আদালতের ভেতরে গোগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালিয়ে দুই হামলাকারীকে হত্যা করে।’ প্রাথমিকভাবে তিনি অবশ্য তিনজনের মৃত্যুর কথা জানান।
গ্যাং দুটির মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক বছরে তাদের মধ্যে লড়াইয়ে ২৫ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রবীণ নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে গোগী। অক্টোবরে দিল্লির শ্রদ্ধানন্দ কলেজের নির্বাচনে গোগী এবং তার সহযোগীরা সন্দীপ ও রবিন্দর নামের দুই তরুণকে খুন করে। তখন তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।