সুমাইয়া আক্তার শ্রাবন্তী অসাধারণ মেধাবী ও বুদ্ধিদীপ্ত এক তরুণী। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে তৃনমূলে তথ্য- প্রযুক্তির প্রসারতা লাভে বিশেষ ভূমিকা রাখা এক সফল নারী উদ্যোক্তা।
গত এক দশকেরও অধিক সময় ধরে তিনি বরিশালের বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে ‘ডিজিটাল সেন্টার’ পরিচালনা করে নিরলসভাবে ওই এলাকার মানুষকে তথ্য ও প্রযুক্তি সেবাসহ নানা ধরণের সহায়তা করছেন। তিনি গোটা ইউনিয়নকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনার কাজ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অপার ভালোবাসা,আস্থা ও স্নেহ অর্জণ করেছেন।
সুমাইয়া এলাকার সাধারণ মানুষের আরও কাছে গিয়ে তাদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আলোকিত এলাকা বির্নিমাণে কাজ করতে চান। এজন্য তিনি আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত ২ (৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে নারী ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
তার দাদা সর্বজন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান বালী বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের একাধিকবার জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদেরও । এলাকার উন্নয়নে রয়েছে তার বিশেষ অবদান।
শৈশব থেকেই ৭১’র রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধি দাদার কাছ থেকে দেশপ্রেম,জনগনের প্রতি অকুন্ঠ ভালোবাসা ও সেবাদানের বিষয়টি সুমাইয়া অবলোপন করে নিজেকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। দাদার মতো মানবসেবা ও এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে চান তিনি। স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী সুমাইয়া আক্তার শ্রাবন্তী আইন পেশার মাধ্যমে মানুষের সেবা করার ব্রতি নিয়ে এলএলবি শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন। ওই ইউনিয়নের মধ্য আউয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান সুমন তার স্বামী।
সুমাইয়ার প্রজ্ঞা,কর্তব্যনিষ্ঠা, মানবিক গুনাবলী ও তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞান দেখতে পেয়ে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলম তাকে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নে তার নারী প্রতিনিধির দায়িত্ব দিয়েছেন। ফলে এমপির দিকনির্দেশনায় এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সুমাইয়া আক্তার শ্রাবন্তী বলেন, জনগনের অকুন্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালণ করে সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের পাশাপাশি ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাকে মাদক,সন্ত্রাস,বাল্যবিয়ে ও দুর্নীতিমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক আদর্শ ও আলোকিত তিলোত্তমা এলাকায় রূপান্তর করবো।