মেহেরপুরের গাংনীতে মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম শুরু করেছে। বুধবার সকালে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ইঁদুরের ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন।
তিনি বলেন, জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষায় ইঁদুরের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও অনেক সময় ইঁদুর হয়ে উঠে ক্ষতির প্রধান কারণ।
বিশেষ করে ফসলের ক্ষেত ও বসতবাড়িতে খাদ্য খাবার খেয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে ইঁদুরেরা।
বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই হাজার কোটি টাকার খাদ্য শস্য ইদুরের পেটে চলে যায়। ইঁদুরের কারণে বিশে^র যে ১১টি দেশে সবচেয়ে বেশি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এশিয়া মহাদেশে প্রতি বছর ইঁদুর যে পরিামণ ধান-চাল খেয়ে নষ্ট করে তা ১৮ কোটি মানুষের এক বছরের খাদ্যের সমান।
এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই ৫০-৫৪ লাখ লোকের এক বছরের খাবার নষ্ট করে ইঁদুর। ক্ষতিকর এই ইঁদুর দ্রæত বংশ বিস্তার করতে পারে। একজোড়া প্রাপ্ত বয়স্ক ইঁদুর বছরে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার বাচ্চা দেয়। স্ত্রী ইঁদুর বাচ্চা প্রসবের তিনি দিনের মধ্যেই আবারও গর্ভধারণ করে থাকে। তাছাড়া ইঁদুর ৬০ ধরনের রোগ ছড়িয়ে থাকে। তাই আসছে আমন মৌসূম সামনে রেখে এখনই ইঁদুর নিধনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান তিঁনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ, আব্দুর রউফ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নিরাঞ্জন চক্রবর্তী।
আলোচনা সভা শেষে একটি র্যালি গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্ত¡র প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও প্রগতিশীল কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইঁদুর মেরে এ কার্যক্রমের সুচনা হয়।